Friday 1 April 2022

নিষ্পাপ আমি...

 .......এক আকাশ বিশালতা হবে?

হৃদয়ের শুন্যতাগুলি ছুড়ে ফেলে দিতাম !!!


.......এক পষলা বৃষ্টি হবে কি?

ক্লান্ত আঁখির অশ্রু ধুইয়ে নিতাম !!!


.......এক দুপুর রৌদ্র কি হবে?

মনের ভেজা বাসনা গুলিকে শুকোতে দিতাম !!!


হাহ...হ.....!

যদি রাত্রী হয়ে নামতে, কি হতো?

নিদ্রাহীন চোখজোড়া হয়তো একটু শান্তি পেতো।


যদি চাওয়া গুলি রাখ, কি হবে তবে?

কিছুই না,

হয়তোবা - আমার আমি কিছু সুখস্মৃতি কুড়িয়ে পাবে !!!

----------------------------------------------------------------------------------------------------------

আজ(০১/০৪/১৫) দুপুরে(১২ টায়) মাইক্রোপ্রসেসর এক্সাম, পড়াশুনা ভালো লাগছে না, অসহায় আমিকে নিষ্পাপ ভাবতে ভালো লাগতেছে !!! 🤦‍♂️

ভাবতেছি কাল এক্সামে ছড়া লিখে দিয়ে আসব !😋


[নোটঃ অনেক আগে নিজের ফেবুতে পোস্ট করেছিলাম! ভাবলাম ব্লগেও থাক।]

Saturday 8 March 2014

আজ তিতলির মন খারাপ !!

(আগের অংশ)


সন্ধ্যা নেমেছে। তিতলি রুমের লাইটা বন্ধ করে জানালা দিয়ে সন্ধ্যামাখা কর্মব্যস্ত রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছে। বৃষ্টির পর ল্যাম্পোস্টের সোডিয়াম আলোয় শহরের ভেজা রাস্তাটাকে একটু মনে হয় অন্যরকম লাগছে। বৃষ্টির কারনে সাময়িক বিরতি সবার মধ্যে কর্মব্যস্ততাকে আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিয়েছে যেন

যদি তিতলির ভূল না হয় তাহলে রাস্তা দিয়ে এখন সে যাকে হেটে যেতে দেখছে সে কিংশুক।
হ্যাঁ, কিংশুকই। সন্ধ্যায় সে এপাড়ায় পড়াতে আসে। প্রথমদিকে যখন তিতলিরা ভার্সিটিতে ভর্তি হল তখন একদিন ফিজিক্স ক্লাসে তিতলি বুঝতে পারলো পিছন থেকে কে যেনো তার চেয়ারটা ঝাকাচ্ছেপিছনে ফিরে তাকাতেই পিছনে বসা ছেলেটা তাকে বললো - তুমি আফরিন দিবা না???
তিতলি বুঝতে পারছিলো না, এই ছেলেটা তার এই নামটা কিভাবে জানলো! সে সেদিন মাথা ঝাকিয়ে বলেছিলো – হ্যাঁ, আমি আফরিন।
ছেলেটা বললো - আমি কিংশুক।
তিতলি একটু হেসে আবার ক্লাসে মনযোগ দিলো। ক্লাসের সময় তিতলির কথা বলার আগ্রহ নেই এই বিষয়টি মনে হয় কিংশুক বুঝতে পেরেছিলো, সেকারনে সেও আর কথা বাড়াল না।

ক্লাস শেষে যখন তিতলি বাইরে বেরুচ্ছিলো, পিছন থেকে কিংশুক তাকে ডাকলো – এই আফরিন শুনো!
তিতলি পিছন ফিরে বলল – হ্যাঁ বলো।
-তোমার কি কোন ছোট নাম নেই? না মানে, এতোবড় নামে তো ডাকা সম্ভব না।
তিতলি হেসে ফেলেলো।
- হ্যাঁ, ছোট নাম আছে। তিতলি।
-বাহ! সুন্দর নাম তো
তিতলি অস্পষ্টভাবে শুনতে পেলো কিংশুক মনে হয় বিড়বিড় করে বলছিলো - তিতলি...তিতা...
-মানে?
-না, তিতলি তো অনেক সুন্দর নাম।
কথা ঘুরানোর জন্য কিংশুক বললো - আচ্ছা তোমাদের ফ্লাটে নাকি কোন আঙ্কেল তার মেয়ের জন্য টিউটর খুঁজছেন? আমি আসলে একটা টিউশনি করাবো ভাবছি।
-আমাদের ফ্লাটে? কই না তো। তবে আমাদের পাশের ফ্লাটে, রহমত চাচা উনার মেয়ের জন্য প্রাইভেট টিউটর খুঁজছেন। কিন্তু তুমি কিভাবে জানলে ?
-সাকিব আমাকে বললো। তুমি নাকি ওকে জিজ্ঞেস করেছিলে ও পড়াবে কিনা ?
-ও তাই বলো। সাকিব আমি একই কলেজে পড়েছি। তার সাথে যেহেতু আগে থেকেই জানাশুনা তাই ভাবলাম ওকে বলি ও পড়াবে কিনা। কিন্তু ও বলেছিলো ও নাকি পড়াবে না। ঠিক আছে আমি রহমত চাচার সাথে আজই কথা বলব।
তিতলি সেদিনই রহমত চাচার সাথে কথা বলে কিংশুককে এই প্রাইভেটটা নিয়ে দিয়েছিলো।

-এই সন্ধ্যাবেলা রুম অন্ধকার করে রেখেছিস কেনো? তিতলির মা রুমের লাইটা জালিয়ে দিতে দিতে জিজ্ঞেস করলো।
-কেনো লাইট জালিয়ে রাখিনি সেটা তুমি বুঝবে না মাতুমি লাইটটা বন্ধ করে দাও তো।
-কি এমন ব্যপার যে আমি বুঝবো না?
তিতলি আগ্রহী স্টুডেন্টকে বুঝানোর ভঙ্গী করে কারণ ব্যাখ্যা করা শুরু করে দিলো,
-সৃষ্টিকর্তা কি করেন ? বলতো মা ।
-লাইট বন্ধকরে রাখার সাথে সৃষ্টিকর্তার সম্পর্ক কি?
-আছে আছে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সবার সব কাজ দেখছেন, তাঁর কাছে আমাদের লুকানোর  কিছু নেই। কিন্তু তাকে কি আমরা দেখতে পারি?
তিতলি উত্তরের অপেক্ষা না করেই নিজে থেকে বলে যেতে লাগলো - পারি না। আমিও নিজেকে লুকিয়ে রাস্তার মানুষজনকে দেখছি কিন্তু আমাকে কেউ দেখতে পারছে না। লুকিয়ে লুকিয়ে সবকিছু দেখতে সৃষ্টিকর্তার কেমন লাগে তা বোঝার চেস্টা করছি।

তিতলির মা আর না হেসে পারলেন না – জানিনা বাবা, তোর যতসব পাগলামি। নে অনেক হয়েছে এবার জানালাটা বন্ধ করে দে। কথাগুলো বলেই তিনি রুম থেকে বের হয়ে গেলেন।

জানালাটা লাগিয়ে দিতে গিয়ে তিতলি বুঝতে পারলো তার শীত শীত করছে, গা টাও মনে হয় খানিকটা গরম।

(চলবে) 

------------------------------------------------------------------------------

এই গল্পের সকল চরিত্র কাল্পনিক। বাস্তবতার সাথে গল্পের কোন সম্পর্ক নেই।

Saturday 1 March 2014

আজ তিতলির মন খারাপ !!


সেই যখন সকালে ঘুম থেকে উঠেছি, তখন থেকেই দেখছি আকাশটা মুখ ভাড় করে রেখেছে। মনে হচ্ছে বৃষ্টি আসবে। আকাশের সাথে সাথে আমার মনটাও ভালো নেই। কি কারনে মনটা ভালো নেই সেটা জানা থাকলেও একটু স্বস্তি লাগতো। সেটাও তো জানিনা। মন খারাপের জন্য দুই, আর কারন না জানার কারনে দুই, মোট চার। মন খারাপের মাত্রা চার।

 

আচ্ছা ২ গুন ২ করলেও তো ৪ হয় !!! মন খারাপ হওয়া শুরু করলে তা জ্যামিতিক হারে বাড়ে। সুতরাং থিওরী চেঞ্জ, দুই যোগ দুই সমান চার হবে না, এটা হবে দুই গুন দুই সমান চার। চার মাত্রার মন খারাপ অবশ্য খুব একটা ভয়াবহ ব্যাপার না। তবে চার মাত্রার মন খারাপের সমস্যা হল তা মনের মাঝে একটা সুক্ষ্ম যন্ত্রণা সৃষ্টি করে, যে যন্ত্রণা আছে বললেও ভূল হয় আবার উপেক্ষাও করা যায় না।

 

বিভিন্ন বিষয়ে থিওরী দেয়ার খেলাটা তিতলির খুব প্রিয়। তার যখন খুব মন খারাপ থাকে তখন সে এই খেলাটা খেলে। এই খেলাটা সে নিজে নিজেই আবিষ্কার করেছে। মন খারাপ থাকলে চিন্তার মাধ্যমে মনকে অন্য কিছুতে ডাইভার্ট করা আরকি। মনকে অন্য কিছুতে ডাইভার্ট  করার জন্য অবশ্য অন্য পদ্ধতিও আছে। যেমন ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে কিছুটা সময় কাটানো। সেজন্য সে সকালে ঘুম থেকে উঠেই যখন দেখলো তার মন খারাপ তখন সে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলো,

“স্যাডনেস ইজ মেজাজ খারাপ হওয়া....এর থেকেও বড় স্যাডনেস মেজাজ খারাপের কারন বুঝতে না পারা!!”

 

কিন্তু তাতেও তার মনটা ভালো হয়নি। বরং তার স্ট্যাটাসে কিংশুকের উলটাপালটা কমেন্টের কারনে তার মেজাজটাই গরম হয়ে গেছে। এই ছেলেটাকে সে যে দুচোখে দেখতে পারে না, সেটা সে তাকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার পরেও কেন যে সে তার পিছনে এভাবে লাগে ??? উফ, বিরক্তিকর! আরে বাবা ভার্সিটিতেতো আরও অনেক ফ্রেন্ড আছে তুই তাদের পিছনে লাগ, আমার সাথে কেন??

 

ইমাম সাহেব মসজিদে আযান দিচ্ছেন। ই..মা..., নিশ্চয়ই বেলা একটা বাজে। জানালার কাছে দাড়িয়ে সে আকাশ দেখছিলো। আযানের ধ্বনি শুনে সে দেয়ালের ঘড়িটার দিকে তাকালো। ঘড়ির কাটা তিনটা একুশ মিনিট পাঁচ সেকেন্ডে গিয়ে থেমে আছে। মনটা আরও খারাপ হয়ে গেলো। গত একসপ্তাহ জুড়ে ঘড়িটা এই জায়গায় থেমে আছে...আব্বুকে কতবার করে বলেছিলো অফিস থেকে ফেরার সময় সে যেন একটা ব্যাটারি কিনে আনে। না, অফিস থেকে ফিরে প্রতিদিন  তার এক কথা - ইস, আজও ভূলে গেছি রে মা, কাল দেখিস ঠিকই কিনে আনব।

আব্বু কি তাকে আগের থেকে একটু কম আদর করছে ? যদি কম আদর নাইবা করছে তাহলে সামান্য ব্যাটারী আনার কথা ভূলে যাবে কেন !

আব্বুর উপর খুব অভিমান হচ্ছিলো তিতলির। মনে হচ্ছিলো সে এখুনি কেঁদে ফেলবে।

 

বাইরে টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছে । তিতলি ভাবছে, আকাশের কি সুবিধা! যখন খুশি মন খারাপ করতে পারে আবার যখন খুশি কাঁদতেও পারে, তার লজ্জা বলে কিছু নেই। কিন্তু মানুষ চাইলেই কাঁদতে পারে না। তার কাঁদার জন্য কারন থাকা চাই। কেন?

মানুষের লজ্জা আছে, এই কি কারন....

জিতু রুমে ঢুকেই বললো, আপু দ্যাখ আব্বু আমার জন্য কি এনেছে !!!

জিতুর বয়স এবছর চার হল। বয়সে চার হলেও দুষ্টুমিতে সে চার ছাড়িয়ে গেছে। সারাদিন পুরো বাড়িটাকে সে মাথায় তুলে রাখে।

 

জিতুর হাতে দুইটা পেন্সিল ব্যাটারী দেখে তিতলির চোখে পানি চলে আসলো। আব্বু তাহলে কাল মনে করে ব্যাটারী এনেছে !!!

আপু নে একটা তোর আর একটা আমার, ব্যাটারীটা দিয়েই জিতু রুম থেকে চলে গেলো। তিতলি অনেক আগ্রহ নিয়ে ঘড়ির ব্যাটারীটা লাগালো। এখন তার মন খারাপ ভাব বেশ কিছুটা কমেছে। তার মনে হয় আনন্দ লাগা শুরু করেছে।

 

বাইরে মুষুল ধারে বৃষ্টি হচ্ছে....তিতলির খুব ইচ্ছে করছে বৃষ্টিতে ভিজতে, নিজের আনন্দের কিছুটা বৃষ্টির পানির সাথে সারা শহরে ছড়িয়ে দিতে।

মানুষ বড় অদ্ভূদ প্রাণী। সে তার নিজের আনন্দ কোননা কোন ভাবে প্রকৃতির মাঝে ছড়িয়ে দিতে চায়, আর দুঃখটাকে চায় নিজের মাঝে গোপন করে রাখতে।

 

কিছুক্ষণ পর তিতলির সাথে জিতুকে ছাদে ভিজতে দেখা গেলো।

(চলবে)

------------------------------------------------------------------------------

এই গল্পের সকল চরিত্র কাল্পনিক। বাস্তবতার সাথে গল্পের কোন সম্পর্ক নেই।

Sunday 24 November 2013

স্মৃতিচারণ



কাক ডাকা ভোরে,
খুঁজেছি তোমারে।
হাত মাখা এক মুঠি আলো।


পিছনে ফিরিয়া, কি জানি ভাবিয়া,
দেখি,
মুখ ভরা এক চিমটি হাসি।

                    
                     গোধূলিরও পরে,
                     মৃদু সমীরণে, উড়িতেছে এলোকেশ রাশি।
                     

ঘুমে ভরা আঁখি, কি জানি কি দেখি,
স্বপনে, এসেছিলে তুমি।
                     আধো ঘুমে জাগি, পাশে নাহি দেখি,
                            চোখ ভরা এক ফোটা জল!
*********************************************
আমার কৈশরের বেশ কিছু মুহূর্তের সাথে মিশে থাকা প্রিয় বন্ধুটিকে খুব মিস করছি। তাকে মনে করেই “স্মৃতিচারণ”।